Covid 19: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তিনদিন বাজার-দোকান বন্ধের নির্দেশ সোনারপুর পুর এলাকায়

<p style="text-align: justify;"><strong>সোনারপুর:</strong> দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর পুর-এলাকায় ফের বাড়ছে সংক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কড়া পদক্ষেপ নিল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। সোমবার থেকে ৩ দিন বাজার-দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শুধুমাত্র ওষুধ ও দুধের দোকান খোলা থাকবে। এ নিয়ে আজ থেকেই প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে প্রচার। আগেভাগে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখার আবেদন জানানো হবে। আগামী শুক্রবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে এই ব্যবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে। &nbsp;পুর-এলাকার বাসিন্দাদের দৈনিক ভ্যাকসিনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে।<br />&nbsp;এরইমধ্যে হুগলির আরামবাগ মহকুমার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকেও কনটাইনমেন্ট জোন ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। &nbsp; গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত, কামারপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং &nbsp;নতিবপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়। ১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে বিধি নিষেধ।<br />উল্লেখ্য,রাজ্যের বেশকিছু অংশের করোনা সংক্রমণের হার নিয়ে নতুন করে উদ্বেগজনিত পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই &nbsp;১৬ জেলায় ২৫১টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। বঙ্গে সবচেয়ে বেশি করোনার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৭টি। পূর্ব বর্ধমানে ২২ এবং হাওড়ায় ১৮টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছিল। পাশাপাশি সংক্রমিত এলাকায় ভ্যাকসিনেশন, র&zwnj;্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় কনটেনমেন্ট জোনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল রাজ্যবাসী। এবার সংক্রমণ রুখতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। এলাকায় সুরক্ষা বিধি অত্যন্ত কড়াকড়ি করা হয়। বাধ্যতামূলক করা হয় মাস্ক পরা। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। &nbsp;সংক্রমণ শৃঙ্খল রুখতে, এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর পুর এলাকার সমস্ত বাজার এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কয়েকদিন আগে বাঁকুড়া শহরে করোনা আক্রান্ত ৪টি পরিবারের বাড়ি সংলগ্ন এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল হরশ্বর মেলা, অরবিন্দ নগর, খ্রিষ্টানডাঙ্গা ও প্রতাপবাগান। বন্ধ করে দেওয়া হয় সংক্রমিতদের বাড়ির সামনের রাস্তা। সেখানে দেওয়া হয় নো এন্ট্রি বোর্ড। এছাড়া স্যানিটাইজ করা হয় ওই এলাকা। কনটেনমেন্ট জোনের অন্যান্য বাসিন্দাদের চলাফেরায় কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। সংক্রমিতদের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।&nbsp;<br />করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন জারি করে সরকার। সংক্রমণ ও মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নমুখী হতে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।&nbsp;</p>

from coronavirus https://ift.tt/3jaXS8W

Stay Conneted