<p style="text-align: justify;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> করোনা অতিমারীর সময় দেশে তৈরি হওয়া আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে অতিরিক্ত ব্যাঙ্ক নোট ছাপানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। সোমবার সংসদে এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। </p> <p style="text-align: justify;">এদিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে, অর্থমন্ত্রীকে নোট ছাপা সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন এক সাংসদ। জবাবে সীতারমণ বলেন, 'না'। তিনি জানান, দেশের জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৭.৩ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছে। যদিও, তিনি যোগ করেন, অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলি এখনও মজবুত রয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">তিনি বলেন, লকডাউন ক্রমশ প্রত্যাহার হওয়ার ফলে অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলি মজবুত রয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত মিশন ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় দফায় আমাদের দেশের অর্থনীতি ক্রমশ পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে। </p> <p style="text-align: justify;">চলতি বছরের মার্চ মাসে, সরকার সংসদে জানিয়েছিল, গত ২ বছরে দেশে ২ হাজারের নোট ছাপানো হয়নি। তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট ছাপানো হয়নি।</p> <p style="text-align: justify;">তিনি যোগ করেছিলেন, যে কোনও মূল্যের ব্যাঙ্কনোট ছাপানোর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরামর্শ করে কেন্দ্র। মানুষ যাতে সহজে লেনদেন করতে পারেন, সে কারণে বিভিন্ন অঙ্কের নোটের সংখ্যায় সামঞ্জস্য রাখা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">২০১৯ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ২০১৬-১৭ সালে ২ হাজার টাকার ৩৫৪.২৯ কোটি সংখ্যক নোট ছাপানো হয়েছে। ,তবে, ২০১৭-১৮ সালে ১১.১৫ কোটি ব্যাঙ্কনোট ছাপানো হয়। ২০১৮-১৯ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৪.৬৬ কোটি। </p> <p style="text-align: justify;">এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে নোটবন্দি ঘোষণার পর দেশে ২ হাজার টাকার নোট চালু করা হয়। কালো টাকা ও জালনোট মোকাবিলা করতে সেই সময় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়।</p> <p style="text-align: justify;">২ হাজার টাকা নোটের সঙ্গে নতুন ৫০০ টাকার নোটও চালু করা হয়। পরবর্তীকালে, ধাপে ধাপে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট বাজারে চালু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।</p>
from coronavirus https://ift.tt/3y646vb