Corona re-infection: ৫-৬ মাসেই নষ্ট হচ্ছে অ্যান্টিবডি, তাই পুনঃসংক্রমণ, বলছে গবেষণা

<p style="text-align: justify;"><strong>নয়াদিল্লি:</strong> একবার করোনা সংক্রমণ থেকে আরোগ্য লাভের পর ফের দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন-- এমন ঘটনা ভুরিভুরি ঘটে চলেছে।</p> <p style="text-align: justify;">এমন অনেকে আছেন যাঁরা গত বছর করোনার ফার্স্ট ওয়েভে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এখন সেকেন্ড ওয়েভে ফের আক্রান্ত হয়েছেন।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী, একবার কোনও ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে, তাঁর শরীরে এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। ফলে, দ্বিতীয়বার সেই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমার কথা।</p> <p style="text-align: justify;">কিন্তু, তাহলে কী করে এমনটা হচ্ছে? এই নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালায় কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">তাদের মতে, 'সেরোপজিটিভ' (রক্তের সিরাম পরীক্ষায় যদি ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে) মানুষদের শরীরে কার্যকরী অ্যান্টিবডির অভাবেই একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">দেশের ১৭টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সিএসআইআর-এর অধীনস্থ ৪০টি গবেষণাগারে কর্মরত কর্মচারী, ঠিকা কর্মী, তাঁদের পরিবার সহ প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">এই সংখ্যকদের মধ্যে সেরোপজিটিভিটি ছিল মাত্র ১০.১৪ শতাংশের। সমীক্ষায় উঠে আসে, ৫-৬ মাস পর ভাইরাসের মোকাবিলা করতে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সংখ্যা দ্রুতহারে কমে যায়। এরফলে, একই ব্যক্তির দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হয়ে পড়ছেন।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দেশে করোনার সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছেছিল। তারপর, অক্টোবর থেকে তা কমতে শুরু করে। এখন মার্চ মাসে সেকেন্ড ওয়েভে তা ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এখন বেসামাল দেশ। বিগত পাঁচদিন ধরে লাগাতার দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি। এই সময়ে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যাও।&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">ভারতে এখনও পর্যন্ত &nbsp;করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৯৪ জনের। &nbsp;আক্রান্তের সংখ্যা &nbsp;১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩০৭। &nbsp;অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৮২ হাজার ২০৪। &nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২০৯ জন করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন। দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৮২৭। &nbsp;&nbsp;</p>

from coronavirus https://ift.tt/3gUg2uD