Kerala Beedi Worker: সবাই পান করোনার ভ্যাকসিন, নিজের জমানো সব টাকা দান করলেন বিড়ি শ্রমিক

<p style="text-align: justify;"><strong>কান্নুর:</strong> ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ৷ আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই তিন লক্ষের উপরে ৷ এই অবস্থায় যত বেশি সংখ্যায় মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে পারবেন, ততোই মঙ্গল ৷ কিন্তু এই অবস্থায় কেরল সরকার এবং কেন্দ্রের মধ্যে এখন ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে বিবাদ ৷ কারণ এই ভ্যাকসিনেশনের খরচ বহন করার দায়িত্ব কার, তা নিয়েই বিতর্ক চরমে ৷ কিন্তু এ সবের মধ্যেও সে রাজ্যের বিভিন্ন মানুষ একে অপরকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে যে যার মতো করে টাকা দান করে ভ্যাকসিন সমস্যা মেটানোতে সাহায্য করছেন ৷</p> <p style="text-align: justify;">কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের উদ্যোগে শুরু হয়েছে &lsquo;ভ্যাকসিন চ্যালেঞ্জ&rsquo; ৷ সমাজের সব স্তরের মানুষকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে ৷ যারা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ৷ ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে ৷ তার মধ্যেই নিজেদের বাঁচাতে এই উদ্যোগ কেরলের বাসিন্দাদের ৷&nbsp;</p> <p style="text-align: justify;">এরই মধ্যে একজন বিড়ি তৈরির কাজে নিযুক্ত কর্মীর কথা না উল্লেখ করলেই নয় ৷ কারণ কেরলের কান্নুরের এই বাসিন্দা নিজের জীবনে এতদিন পর্যন্ত জমা করা সব টাকা দান করেছেন এই ভ্যাকসিনেশনের কাজে ৷ লক্ষ্য একটাই, অন্তত কিছু সংখ্যায় মানুষ যাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পান ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লক্ষ টাকা দান করেছেন ৬৩ বছরের জনার্দন ৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, &lsquo;&lsquo; কোভিড পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর ৷ দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ অনেক মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে ৷ এটা আমাদের বসে থাকার সময় নয় ৷ অন্যেরা যখন ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না ৷ তখন আমি কেন আমার টাকা নিয়ে বসে থাকব ৷ আমি শুনেছি ভ্যাকসিন নিতে গেলে টাকা দিতে হচ্ছে ৷ তাই আমি এই কাজে টাকা দান করার সিদ্ধান্ত নিলাম ৷ যাতে যাদের পক্ষে কোভিড ভ্যাকসিনের টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়, তারা যেন ভ্যাকসিন পান ৷ &rsquo;&rsquo;</p>

from coronavirus https://ift.tt/3dY3Dnt

Stay Conneted